রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম:
মিলির পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

মিলির পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও

মোঃ বাদশা মিয়াঃ
অবশেষে কিছুটা কষ্ট লাঘব হতে যাচ্ছে সংগ্রামী মেয়ে মিলি আক্তারের। স্বপ্ন পূরণে তার পড়োশোনার খরচ চালানোর দায়িত্ব নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি দেয়া হয়েছে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু মিলি আক্তারের বাড়িতে যান। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা, চাল-ডাল, আটা, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়। এছাড়া ইউএনও নিজে নগদ ৪ হাজার টাকা দেন। এছাড়া মিলির পড়ালেখার খরচের পাশাপাশি সরকারিভাবে বিনামূল্যে একটি ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। ফরিদপুরের নগরকান্দার তালমা ইউনিয়নের ধুৎরাহাটি গ্রামের আ. বারেক ব্যাপারীর মেয়ে মিলি আক্তার। সে ধুৎরাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। আর্থিক অভাব-অনটনের মধ্যেও সে জেএসসি পরীক্ষায় সুনামের সঙ্গে কৃতকার্য হয়। মিলির বাবা বারেক ব্যাপারী চায়ের দোকান চালাতেন। ছয়-সাত বছর ধরে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন তিনি। টাকার অভাবে চোখের অপারেশন করতে পারেননি। মা সূর্য খাতুন বৃদ্ধা এবং শারীরিকভাবে অক্ষম। চার ভাইবোনের মধ্যে বিয়ের পরে সবাই পেতেছেন আলাদা সংসার। একমাত্র মিলিই থাকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে নিজের ও বাবা-মায়ের পেটের তাগিদে মিলি আক্তার হাতে তুলে নেয় গরম চায়ের কেটলি। এ নিয়ে ৪ জুলাই ‘স্বপ্ন পূরণে এক হাতে কেটলি অন্য হাতে বই’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি ইউএনওর নজরে আসে। এরপর মিলির বাড়িতে যান তিনি। এ বিষয়ে ইউএনও জেতী প্রু বলেন, ‘মিলির সংগ্রামী জীবন। তার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved 2018 Banglarnayan
Design & Developed BY ThemesBazar.Com